22 Dec 2024, 05:05 pm

ভৌতিকভাবে ঝিনাইদহ পৌরসভার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা জমা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঝিনাইদহ পৌরসভার একটি অ্যাকাউন্টে ভৌতিকভাবে মোটা অঙ্কের টাকা জমা হয়েছে। এই টাকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা এই টাকা ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকের ৩১৬ নম্বর পৌরসভার অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে তার কোনো তথ্য নেই ঝিনাইদহ পৌরসভায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর অত্যন্ত গোপনে ঐ অ্যাকাউন্টে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। কোনো বিলের বিপরীতে এ টাকা জমা হয়নি। আর এ বিষয়টি সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।

পৌরসভার হিসাব কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো কাগজপত্র হাতে পাননি। তিনি আরো বলেন, এ হিসাবে সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২ পারসেন্ট করে প্রাপ্ত টাকা জমা হয়ে থাকে। আর পৌরসভার সচিব নুর আহমেদ বলেন, পৌরসভার একটি হিসাবে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা জমা পড়েছে। তবে কীসের টাকা এ হিসাবে  জমা পড়েছে তা তিনি বলতে পারেন না।

ঝিনাইদহ পৌরসভার চেক ও ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে  ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে দুই বছর আগে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১১ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ৩৮টি চেক ও ভাউচারের অনুকুলে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮  টাকা উত্তোলন করা হয়। ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ২০২১ সালের ২৭ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভার ২৯৬ নম্বর স্মারকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন।  মেয়রের অভিযোগপত্র পাওয়ার পর ২০২১ সালের ১২ আগস্ট স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (পৌরসভা শাখা-১) উপসচিব মুহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে মেয়রের মেয়াদ কাল শেষ হলে উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলাম পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোর সমন্বিত অফিস ঝিনাইদহ পৌরসভায় হানা দিয়ে ফাইল নিয়ে যান। কিন্তু দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।

এদিকে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর পৌরসভার ৩১৬ নম্বর অ্যাকাউন্টে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা হয়। বিভিন্ন জন ধারণা করছেন, টাকা আত্মসাৎকারী পৌর কর্মকর্তাদের কেউ এ টাকা জমা দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি পৌরসভার চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। টাকা আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 5027
  • Total Visits: 1409548
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1675

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)
  • ১৯শে জমাদিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, বিকাল ৫:০৫

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
      1
23242526272829
3031     
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018